৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন রায়পুরের ১২ যুবক

৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন রায়পুরের ১২ যুবক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
রমজান উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করছেন সমাজসেবক শিক্ষক কাজি কাউসারের উদ্যোগে স্থানীয় ১২ যুবক। প্রথম দিনই ২৮৭ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রোববার এ গরুর মাংস বিক্রি করা হবে বলে জানা যায়।

রোববার দুপুর ১২টা থেকে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউপির আকনবাজার সড়কের আলআকসা জামে মসজিদের সামনে সুলভ মূল্যে এ গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এখানে কম মূল্যে মাংস কিনতে পেরে খুশি নিম্নআয়ের ভোক্তারা।

জানা যায়, রায়পুর উপজেলার ২৮টি বাজারে কেজিপ্রতি ৮৫০-৯০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। সেখানে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেন স্থানীয় ১২ সমাজসেবক যুবক।

উদ্যোক্তা কাজি কাউছার জানান, একজন ক্রেতা সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ দুই কেজি মাংস নিতে পারছেন এখান থেকে। এছাড়াও রমজান উপলক্ষে আমার উদ্যোগে প্রতি রোববার বাজারের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখান থেকে পরিবারের জন্য মাংস কিনছেন।

মাংস কিনতে আসা ছোট ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, বাজারে কেউ কিছু বলে না। এর আগে আমরা তো ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস খেয়েছি। এখানে বাজার থেকে ২৫০ টাকা কম দামে কিনতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের যে রোজগার তা দিয়ে গরুর মাংসের কথা চিন্তাও করতে পারি না।

আরেক ক্রেতা ইজিবাইকচালক আবদুল মান্নান বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম কম দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে তাই এক কেজি কিনলাম। দেখে খুব ভালো লাগছে যে গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রায়পুর শহরে ও অন্য বাজারে কিনতে গেলে ৮৫০-৯০০ টাকা লাগছে। এমন উদ্যোগ দেখে আমরা খুবই খুশি।

এ বিষয়ে কাজি কাউছার জানান, বর্তমান বাজারে ব্যবসায়ীরা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের প্রতি জুলুম করছেন। এতে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ গরুর মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ১২ রমজান থেকে আমাদের ১২ জন বন্ধু- খোরশেদ ভূঁইয়া, আকরাম সেট, মহসিন হোসেন, রিয়াদ হোসেন, মো. সুমন, রুহুল আমিন, মাছুম বিল্লাহ, সহানুর রহমান শান্ত, এমএ বিল্লাল, তারেক আজিজ, মো. ইব্রাহিম ও রিফাত হোসেন একসঙ্গে সুলভ মূল্যে (৬৫০ টাকা কেজি) বিক্রি করতে পারায় আমরা খুব খুশি। প্রথম দিন ২৮৭ কেজি মাংস বিক্রি হয়। আমাদের বেশিরভাগ ক্রেতা দিনমজুর ও ছোট ব্যবসায়ী। অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছি।

এআর-২৫/৩/২৪

Share your comment :