অগ্নিগর্ভ সারাদেশ, ৪ শহরে বিজিবি মোতায়েন
বাংলাকন্ঠ রিপাের্ট
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে সোমবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার এর জের ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগের হামলায় এ রিপাের্ট লেখা পর্যন্ত ৪ শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিগর্ভ দেশের এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে কত সংখ্যক প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে এখনো তা জানায়নি বিজিবি।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের জাফর পাড়ায়।
অন্যদিকে, এদিন বেলা সোয়া তিনটার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তাদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান পরিচালক।
নিহতরা হলেন— চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়ার্কশপ কর্মচারী ফারুক। ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আর ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
Share your comment :