টানা বৃষ্টিতে ভাসছে বাগেরহাট শহর, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

টানা বৃষ্টিতে ভাসছে বাগেরহাট শহর, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল


বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বাগেরহাট শহরের বেশির ভাগ এলাকা। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক এলাকায় হাঁটু পানি জমেছে।
জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
টানা বৃষ্টিতে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে অনেকের ঘের ডুবে মাছ বেড়িয়ে গেছে। বুধবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী রোড, রেল রোড, সাধনার মোড়, শালতলা, পিটিআই মোড়, খারদার স্কুল রোড়, জেলা হাসপাতাল মোড়, জেলা ডাকঘরের সামনে, বাসাবাটি, মিঠাপুকুরপাড় মোড়, পৌরসভার পাশে, জাহানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পিছনসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত দেখা যায়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন অনেক পরিবার।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পেটের টানে রাস্তায় বের হওয়া রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যাত্রী না থাকায় যেমন আয় নেই, তেমনি পানিতে নিমজ্জিত রাস্তায় দুর্ঘটনায়ও পড়েছেন অনেকে।
ইউছুপ নামের এক রিকশা চালক বলেন, পেটতো আর ঝড় বৃষ্টি বোঝে না। ছয় জনের সংসার চলে আমার পায়ের ওপর। তাই সকালে বৃষ্টি মাথায় রিকশা নিয়ে বের হইছি। কিন্তু লোকজন নেই। সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৩৫ টাকা হয়েছে। কি আর করা, একেতো বৃষ্টি তার ওপর রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে, মানুষ বের হয়ে কোথায় যাবে।
জুম্মার নামাজ শেষ করে মিঠাপুকুর পাড় দিয়ে বাসায় ফেরা পথচারী শাহিন মোল্লা বলেন, রাস্তাঘাট সব জায়গায় পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটু সমান পানির মধ্যেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর কবে স্বাভাবিক হবে এই পৌরশহর বলে আক্ষেপ করেন এই পথচারী।
শিশু হাসপাতালের পেছনে বসবাসকারী সঞ্চিতা নামের এক নারী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায়। দুদিন ধরে রান্নাবান্না বন্ধ শুকনা খাবার খাচ্ছি। আমাদের এখানকার ছয়টি পরিবারের একই অবস্থা। পানি নিষ্কাশন না হওয়া পর্যন্ত আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো না।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল হক রিজভী বলেন, শহরে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষে পাঁচটি খাল খনন কাজ শুরু করা হবে। খালের কাজ শেষ হলে পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
এএ/

Share your comment :