ঠিক যেন তাজমহল
ডেস্ক রিপোর্ট
বিশ্বখ্যাত তাজমহলের আদলে নির্মিত হচ্ছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ‘আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ’। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ পর্যটন স্পট নবাবগঞ্জের স্বপ্নপুরী। এই স্বপ্নপুরীর পাশেই আফতাবগঞ্জ বাজারে ঐতিহাসিক তাজমহলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে এ মসজিদটি। এক বিঘা জমির ওপর মসজিদের নির্মাণকাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়ে এখনো চলছে। মসজিদটি নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিসহ কয়েকজনকে একাধিকবার তাজমহলসহ ভারতের বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শন করানো হয়েছে। সেই তাজমহলের মতোই বিশালাকৃতির সুউচ্চ গম্বুজ, নকশাখচিত কারুকাজ, চকচকে মার্বেল পাথর আর উচ্চমাত্রার আধুনিকতায় নির্মিত হচ্ছে আফতাবগঞ্জ জামে মসজিদ।
এদিকে পুরোপুরি নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এখনই মসজিদটি দেখতে ভিড় করছে দূর-দূরান্তের পর্যটকরা। নির্মাণাধীন এ মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
২০১৫ সালে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে এযাবৎ নিজের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি গড়ে তুলছেন স্বপ্নপুরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও স্থানীয় এক এমপি। কোনো বিশেষজ্ঞ আর্কিটেকচার বা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই তাঁর নিজস্ব ডিজাইন ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠছে এ মসজিদ। নিজস্ব পরিকল্পনায় তাজমহলের অনুসরণে মিস্ত্রিদের দিয়ে মসজিদটির নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চার তলাবিশিষ্ট মসজিদটির নিচতলায় থাকবে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে থাকবে ধর্মীয় বিভিন্ন গবেষণামূলক বই। পাশেই থাকবে সেমিনার কক্ষ। যেখানে ধর্মীয় বিতর্ক কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। থাকবে জ্ঞান অন্বেষণে আসা লোকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থাও। দ্বিতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরে ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ মসজিদে প্রায় ৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা থাকছে। তৃতীয় তলায় মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬টি পিলারের ওপর তৈরি মসজিদটিতে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। চার কোনায় রয়েছে চারটি সুউচ্চ গম্বুজ। গম্বুজগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রানাইট, টাইলস, মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদের দেয়াল, ছাদসহ মসজিদজুড়ে বিভিন্ন নকশা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও চাঁদ-তারাসহ বিভিন্ন নকশা স্থান পেয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক। এর নির্মাণকাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে, এমনটিই জানান নির্মাণ শ্রমিকরা।
মসজিদটি দেখতে আসা মুকুল সরকার বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে এসেছি। দিনাজপুর জেলায় এত সুন্দর মসজিদ আছে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।
এআর-৬/৪/২৪
Share your comment :