ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট :
সরকার আমন মৌসুমের জন্য প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ৩৩ টাকা। প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের দাম ৪৭ টাকা এবং আতপ চালের দাম নির্ধারণ করেছে কেজি ৪৬ টাকা। গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৪ টাকা। বোরো ও আমন মৌসুমের মধ্যে চার মাসের ব্যবধানে ধানের দাম বেড়েছে কেজিতে এক টাকা। সিদ্ধ ও আতপ চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। এসব দামে আমন মৌসুমে সরকার মোট ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার সকালে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়। এদিন এফপিএমসি সভাপতি ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আমন সংগ্রহ মৌসুমে ৩ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধান ও সিদ্ধ চাল আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ করা হবে। আর আতপ চাল ১৭ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ টাকা। সিদ্ধ চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪ টাকা এবং গমের দাম ৩৫ টাকা।
এদিকে বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৭ টাকা। ব্রি-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৩ টাকা। স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকা। নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা।
বাজারটিতে কথা হয় মেসার্স মান্নান রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আ. মান্নান তালুকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের বাজার অনেকটা চড়া। বেশিরভাগ দোকানেই মোটা চালের সংকট রয়েছে।’
এএ/
Share your comment :