পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের হত্যাকারী হাসপিলের ৪০ বছরের কারাদণ্ড

পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের হত্যাকারী হাসপিলের ৪০ বছরের কারাদণ্ড

বাংলাকন্ঠ ডেস্ক:
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিল। তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়া ভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ গোকাদার প্রধান নির্বাহী (সিইও) ২০২০ সালের জুলাই মাসে ম্যানহাটনে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে হত্যার শিকার হন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
হাসপিলের অপরাধ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, ফাহিম সালেহ‍‍র কাছ থেকে চার লাখ ডলার চুরি ও অন্যান্য অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ফাহিমের নগদ অর্থ চুরি করে আসছিলেন হাসপিল বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন।
কিন্তু হাসপিল চুরি থেকে সরে আসেননি। বরং ফাহিম সেটি বুঝতে পারছেন এবং এ ব্যাপারে ফৌজদারি মামলা করবেন এমন ধারণা থেকে তিনি হত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান ম্যানহাটন আদালতের প্রসিকিউটররা।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল হত্যা করেন ফাহিমকে। এর পরের দিন একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ফাহিমের মরদেহ কাটার এ পর্যায়ে করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি চার্জার কিনতে বাইরে যান। এর মধ্যে ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে।
এএ/

Share your comment :