পেঁয়াজের দাম কমছে , মজুত থেকে বাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারত থেকে আমদানির খবরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অবৈধভাবে মজুত করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। এতে পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি ১৪শ’ টাকা কমেছে। ফলে প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তিন দিন আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নভেম্বরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও ডিসেম্বরে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশি জাত বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে রোজায় বাড়তি মুনাফা করতে মার্চে ফের ৯০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে। মূলত এই কথার পরই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। বাড়তি মুনাফার আশায় যারা এতদিন অবৈধভাবে মজুত করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে তারা মূল্য কমিয়ে বাজারে ছাড়তে থাকে। পাশাপাশি কৃষক পর্যায় থেকেও পণ্যটি বাজারে আসায় কমতে থাকে দাম।
সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। যা তিন দিন আগেও ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গত বছর ঠিক একই সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি খুচরা বাজারে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির খবর শুনেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমানো হয়েছে। এসব বিক্রেতাদের কারসাজি। এতদিন আমাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করে। কিন্তু তাদের কোনো বিচার বা শাস্তি হয়নি। তবে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমায় একটু হলেও স্বস্তি লাগছে।
এদিকে দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার প্রতি মন পেঁয়াজ ১৬০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাঁচ দিন আগেও ৩০০০-৩২০০ টাকা ছিল।
এআর-১৯/৩/২৪
Share your comment :