বগুড়ায় স্বস্তি নেই বাজারে, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

বগুড়ায় স্বস্তি নেই বাজারে, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় স্বস্তি নেই আলুর বাজারে। দাম বেড়েছে মাছ-মাংস ও ডিমের। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দফায় দফায় বেড়েছে প্রয়োজনীয় এসব জিনিসের দাম। এসবের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাঁচামরিচ, বেগুন ও ডিমের দাম।

শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, আবারও লাগামহীন দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।

আর প্রকারভেদে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাপদাহের কারণে মুরগি মারা যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া বগুড়ায় খামারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশি দামে ডিম ও মুরগি কিনতে হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০টাকায়। আবার কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে তা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হলেও সাত দিন আগে তা ৩২০ টাকা ছিল। দেশি জাতের মুরগির দাম বেড়ে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে মাছ ও মাংসের দামও। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭০০টাকা কেজি। বড় খাসির মাংস এক হাজার টাকা কেজি, ছোট খাসি ৯০০টাকা ও ছাগি ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৬০০ টাকা কেজি, রুই সাড়ে ৩০০টাকা, কাতল সাড়ে ৪০০টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০টাকা ও দেশী ছোট মাছ প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম কমেলেও মাছ-মাংসতে নেই স্বস্থি।

এদিকে গত কয়েক দিন আগে প্রতিকেজি কার্ডিনাল আলু ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম বেড়ে তা ৫০ টাকা এবং ৫৬ টাকা, পাকড়ি আলু কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ক্রেতারা বলছেন, গরমের কারণ দেখিয়ে ডিম ও মুরগির বাজারে ফের কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অবৈধ মজুত করে তারা বাজার অস্থির করছে। সরবরাহ কমিয়ে বাড়িয়েছে দাম। ক্রেতাদের দাবি, আলুসহ ডিমের অবৈধ মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলের নজর দেয়া জরুরি।

এআর-১৭/০৫/২৪

Share your comment :