বাংলাদেশকে ছোট করে বিতর্কিত মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশকে ছোট করে বিতর্কিত মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
বাংলাদেশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বিতর্কিত ওই মন্তব্যে তিনি বলেছেন, ভারত ছাড়া বাংলাদেশ টিকতে পারবে না।
গত রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনই নাউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা “হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তথাকথিত নৃশংসতার” জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন। সেদিন তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের সমর্থন ছাড়া বাংলাদেশ টিকতে পারে না।
বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পাশাপাশি সাহা বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা” নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রশাসনকে হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে মানিক সাহা বলেন, “চিন্ময় দাস প্রভুর মতো ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা অগ্রহণযোগ্য। ভারত সরকার স্রিয়ভাব এই সমস্যাগুলোর বিষয়ে কাজ করছে, তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্কতা প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং ভুয়া খবরের খপ্পরে পড়া এড়াতে হবে।”
দুই দেশের পারস্পরিক নির্ভরতা তুলে ধরে মানিক সাহা বাংলাদেশে ভারতের “অবদানের কথা” মনে করিয়ে দেন।
তিনি দাবি করেন, “ভারত বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পণ্য। আগরতলা-বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা এবং মৈত্রী সেতুর মতো পারস্পরিক বাণিজ্য এবং অবকাঠামো প্রকল্প সত্ত্বেও, এই ধরনের ঘটনাগুলো কাজ ব্যাহত করছে এবং ভারসাম্যহীনতা তৈরি করছে। ভারতের সমর্থন ছাড়া বাংলাদেশের টিকে থাকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি। ভারতের নেতারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।”
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তিনি দাবি করেছিলেন, ভারত ছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নত হবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ভারতের অবদান মনে রাখা উচিত বলেও সেসময় মন্তব্য করেন তিনি।
এএ/

Share your comment :