মজুতকারীদের নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য মজুত রেখে বা লুকিয়ে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাদের ব্যাপারে কড়া হুশিয়ারী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দাম বাড়িয়ে দেওয়া লোকদের গণধোলাই দেওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশি বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য করার সুযোগ পেয়েছি। সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আনার চেষ্টা করেছি। সংসদে কী হয়, সেগুলো সবার জানা ও দেখা দরকার।
দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র তো আছেই। ষড়যন্ত্র প্রত্যেকবারই হচ্ছে। বার বার করেছে। নির্বাচন যাতে না হয়, বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আপনারা জানেন। এগুলো হঠাৎ করে নয়, পরিকল্পিতভাবে করেছে। নির্বাচন যখন বানচাল করতে পারবে না, বুঝে গেছে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল। তাই তারা পরিকল্পনা করেছে, দ্রব্যমূল্য বাড়বে আর তারা আন্দোলন করবে।
তিনি বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানোর কথা তো আপনিই বললেন। আপনার কি মনে হয় না, যারা সরকার উৎখাতে আন্দোলন করে তাদেরও এখানে কারসাজি আছে? এর আগে দেখলাম পেঁয়াজের খুব অভাব। পরে দেখা গেলো বস্তাকে বস্তা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এ লোকগুলোকে কী করা উচিত, সেটা আপনারাই বলেন। এদের-তো গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ আমরা সরকার কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে!
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি জার্মানি সফরের নানা অভিজ্ঞতা জানান।
জার্মানিতে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন তিনি। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের বাইরে এটিই ছিল তার প্রথম সরকারি সফর।
Share your comment :