মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর আরও তিনটি ঘাঁটি দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর আরও তিনটি ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। কাচিনের ভামো জেলার মানসি টাউনশিপের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই ঘাঁটিগুলো গত রোববার দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ কেআইএ ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অঞ্চলটিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ঘাঁটিগুলো মানসি টাউনশিপের মাজি গুং পর্বতে অবস্থিত। জান্তা বাহিনীর পদাতিক বাহিনীর ১০২, ২৫০ ও ৪২৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি ছিল সেখানে।
ঘাঁটিগুলো দখলের পর কেআইএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘আমাদের সবগুলো ঘাঁটি পুরোপুরি দখল করতে তিন দিন লেগেছে। ঘাঁটিগুলো থেকে আমরা দুটি ১০৫ মিলিমিটার হাউইটজার কামান ও অন্যান্য অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছি।’
এর আগে কাচিন, রাখাইন রাজ্য ও মান্দালয়, সাগাইন, মগওয়ে এবং তানিনথারি অঞ্চলে গত তিন দিনে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) ও এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনের (ইএওএস) বরাত দিয়ে এসব খবর দিয়েছে ইরাবতী। তবে তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে উত্তর মিয়ানমারের একটি অংশ জুড়ে আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সমন্বয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এরপর ধারাবাহিকভাবে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বেশ কয়েকটি শহর এবং লাভজনক বাণিজ্যকেন্দ্র দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর এই জোট।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলছে সংঘাত। গত তিন বছরে গৃহযুদ্ধ মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে দেশটির অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থায়।
Share your comment :