মুন্সিগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ৭
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। পাল্টাপাল্টি হামলায় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কয়েক গ্রামজুড়ে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর অনুসারী বাহাদুর মিয়া ও ইউপি সদস্য ডলি বেগম গ্রুপের সাথে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহসিনা হক কল্পনার অনুসারী বাবু কাজী, শওকত ও ইউপি সদস্য সুমা গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুই পক্ষের মধ্যে সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ সময় গাবুয়া বাড়ি এলাকার বাবু কাজী নেতৃত্বে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে অলংকারসহ নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগ ওঠে।
এরপর এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলতে থাকায় ইউনিয়নের ঢালীকান্দি, মুন্সীকান্দি ও উত্তর বেহেরকান্দি গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উভয় পক্ষ গুলি বর্ষণ করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন গুরুতর আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সিফাত (২০) ও ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আম্বিয়া খাতুনকে (৬০) মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করেছেন চিকিৎসকরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি চরডুমুরিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ একজনসহ আহত হন আরও ছয়জন।
Share your comment :