যুক্তরাজ্যে ছুরি হামলায় ২ শিশু নিহত, আহত ৯

যুক্তরাজ্যে ছুরি হামলায় ২ শিশু নিহত, আহত ৯


বাংলাকন্ঠ ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের মার্সিসাইড জেলার সাউথপোর্ট শহরের একটি শিশুদের নাচের কর্মশালায় ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ২ শিশু এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
আহতদের মধ্যে দুই প্রাপ্তবয়স্কসহ ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলার অভিযোগে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ল্যাঙ্কাশায়ার জেলার ব্যাঙ্কস শহর থেকে সাউথপোর্টে এসেছিল সে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঘটে এ ঘটনা। এই দিন থেকেই দেশটির স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। নিহত ও আহত শিশুদের সবার বয়স ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। হামলাকারী ওই তরুণকে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন দুই প্রাপ্তবয়স্ক।
মেরিসাইড পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণের হামলার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়।
মার্সিসাইড পুলিশের অন্যতম মুখপাত্র এবং চিফ কনস্টেবল সেরেনা কেনেডি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সাউথপোর্ট শহরের একটি খালি গুদামঘরে নাচের কর্মশালা হচ্ছিল। কর্মশালা চলার মধ্যেই ওই তরুণ ছুরি হাতে আকস্মিকভাবে সেখানে প্রবেশ করে সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই আঘাত করেছে। তাকে থামাতে গিয়ে আহত হন দুই প্রাপ্তবয়স্ক।”
হামলাকারী ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন উল্লেখ করে সেরেনা বলেন, “ওই তরুণের জন্ম কার্ডিফে, বসবাস করত ল্যাঙ্কাশায়ারে। কী কারণে সে এই ভয়াবহ হামলা করল, তা এখনও পরিষ্কার নয়; তবে তাকে এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, সে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য নয়।”
নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি স্বান্তনা জানিয়ে মার্সিসাইড পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, “আমার দু’টি মেয়ে এবং একটি ৫ বছর বয়সী নাতনি রয়েছে। আজ যাদের সন্তান হামলার শিকার হলো, তাদের মনোভাব আমি উপলব্ধি করতে পারছি এবং হৃদয়ের গভীর থেকে তাদের স্বান্তনা জানাচ্ছি।”
হতাহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে স্বান্তনা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মারও।
হামলার একজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী সাংবাদিক টিম জনসন। বিবিসিকে তিনি বলেন, “ঘটনাটি ছিল এক কথায় ভয়ঙ্কর। আমি আমার জীবনে এমন কিছু এর আগে দেখিনি।”
এএ/

Share your comment :