সংকট উত্তরণে ‘জাতীয় সংলাপ’ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস

সংকট উত্তরণে ‘জাতীয় সংলাপ’ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস


বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট :
দেশের চলমান সংকট উত্তরণে সর্বদলীয় জাতীয় সংলাপ আহবানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এ সংকট আরো চরম আকার ধারণ করে এখন এমন পর্যায়ে পৌছেছে যা এককভাবে মোকাবিলা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সরকারের উচিৎ সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সংলাপ ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করা।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেস’র চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম সংলাপের এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কারা এমন গণহত্যা করে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সেটা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করে দায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে গত কয়েকদিনে ব্লক রেইড দিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে সেখান থেকে ফিরে আসতে হবে। সরকারের এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ, অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করে সারাদেশে গণ-গ্রেফতার বন্ধ ও অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি করছি।

দলের দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমানের প্রেরণ করা বিবৃতিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, দেরিতে হলেও সরকার ছাত্র আন্দোলনে ১৫৪ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এখনো লাশের সন্ধানে হাসপাতালের মর্গে ছুটছেন স্বজনরা। কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কে কথিত নিরাপত্তার নামে ডিবি পুলিশ তাদের কাছে আটক করে রেখেছে যা দেশের সংবিধান ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্গন। আটক ছাত্রদেরকে অবিলম্বে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ মনে করেন দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন কায়েমের পথে হাঁটছে সরকার। এক ব্যক্তির ইচ্ছের বাস্তবায়ন চলছে দেশে। দেশের আইন, নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী মত দমনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সরকার। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।

Share your comment :