সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর জামিন নামঞ্জুর
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
চাঁদাবাজি, জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
এর আগে ৪টার দিকে পাবনা কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তাকে আদালতে আনা হয়। এর আগেরদিন (রোববার) ঢাকার কারাগার থেকে তাকে পাবনা কারাগারে আনা হয়।
টুকুর নিজ নির্বাচনী এলাকা বেড়ার বৃশালিখার মির্জা আব্দুল হামিদের ছেলে মির্জা মেহেদী বাদী হয়ে গত ৬ নভেম্বর পাবনার ৩ নম্বর আমলি আদালতে টুকুসহ তার ভাই আব্দুল বাতেন ও ছেলে আসিফ রঞ্জনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (মামলা নম্বর: ২) দায়ের করেন।
শুনানিতে বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট নাজমুল হক শাহীন ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. বেলায়েত আলী বিল্লু।
জামিন নামঞ্জুর করায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. বেলায়েত আলী বিল্লু অসন্তোষ জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মামলায় যে দিনের দখল বা চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে, সেদিন সাবেক ডেপুটি স্পিকার সেনা হেফাজতে ছিলেন। অর্থাৎ এটি অবৈধ মিথ্যা মামলা। এ বিষয়ে আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামিন চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত সেটি নামঞ্জুর করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ মে সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর নির্দেশে বাদীপক্ষের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। চাঁদা না দেওয়ায় বৃশালিখা ঘাটের ২০টি দোকান ও ৫০টি গোডাউনসহ জমি জোরপূর্বক দখল করেন আসামিরা। এরপর থেকে দোকান ও গোডাউনগুলোর ভাড়াও তুলতে দেননি টুকু ও তার বাহিনী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে টুকু তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলা নিতে দেননি। এরপর গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাদীপক্ষ সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু, তার ভাই আ. বাতেন ও ছেলে আসিফ শামস রঞ্জনসহ ১২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এর আগেও কয়েকজনকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে তারা জামিন পান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, দখলকৃত দোকান ও গোডাউনে ভুক্তভোগীদের ভাড়া অবৈধভাবে আদায় করে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন টুকু ও তার বাহিনী। এছাড়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।
এএ/
Share your comment :