স্বস্তি অস্বস্তির মেট্রোরেল
স্টাফ রিপোর্টার
যাত্রীদের চাপ সামলাতে ১৭ ফেব্রুয়ারী, শনিবারই নতুন সূচিতে শুরু হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। বাড়ানো হয়েছে ২৬টি ট্রিপ। ৮ মিনিট পরপর স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছিল ট্রেন। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই হঠাৎ পল্লবী স্টেশনে আটকা পড়ে একটি ট্রেন। আধা ঘণ্টার বেশি পল্লবীতে এই ট্রেন আটকা পড়ে। এ কারণে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনেই বাড়তে থাকে যাত্রীদের চাপ। তাড়া থাকায় কেউ কেউ মেট্রোরেল ছেড়ে বাস বা অন্য কোনো গণপরিবহন ধরে।
শনিবারের এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবারও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ মন্তব্য করে বসেন, “বিড়ম্বনার অপর নাম মেট্রো ট্রেন।” যেখানে সকালে দ্রুত ট্রেন পেয়ে অবাকও হন কেউ কেউ।
গত ৫ নভেম্বর মতিঝিল-উত্তরা রুটে মেট্রোরেল চালুর পর দিনে ১৫২টি ট্রিপ ছিল, ১০ মিনিট পরপর স্টেশনে ভিড়ত ট্রেন। যাত্রীদের চাপ বাড়ায় সেই সময় শনিবার থেকে ২ মিনিট কমিয়ে করা হয়েছে ৮ মিনিট পরপর। ট্রিপ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৮টিতে।
তবে প্রথম দিনই দুপুরে আধা ঘণ্টার বেশি অচল ছিল যানজটের নগরী ঢাকার গণপরিবহনে স্বস্তি আনা মেট্রোরেল। কী কারণে আটকে ছিল ট্রেন সে বিষয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সকালেও সমস্যা হয় মেট্রোরেল চলাচলে। ডিএমটিসিএল জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সময় শিডিউল অনুযায়ী রেল পরিচালনা করা যায়নি। বিদ্যুতের ঘাটতি ও সিগন্যাল সিস্টেমে ত্রুটিই এর কারণ। এর আগে বুধবারও রেলের তারে ঘুড়ি আটকে মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল ঘণ্টাখানেক ব্যাহত হয়।
‘স্বস্তি বেড়েছে দ্বিগুণ’
শনিবার সকালে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিরপুরের বাসিন্দা রাকিব হোসেনের সঙ্গে। নতুন সূচির প্রশংসা করে বলেন, “কর্তৃপক্ষ ভালো কাজ করছে। সময় কমাইছে। আবার ট্রেন বাড়াইছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা সুযোগ সুবিধা অবশ্যই একটু বেশি পাবে।” এর ফলে যাত্রীদের স্বস্তি দ্বিগুন হয়েছে বলে দাবি করেন এই মেট্রোযাত্রী।
রাত ১১টা পর্যন্ত ট্রেন দাবি
রাকিব হোসেন মেট্রোর নতুন সূচি ভালোভাবে দেখলেও খানিকটা ভিন্নমত রয়েছে আরেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা রাকিবুল হাসানের। জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিনই তার শাহবাগে আসতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রথমে মতিঝিল এসে পরে মেট্রোতে চড়েই যাতায়াত করে থাকেন তিনি।
রাতে মেট্রোর সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বাংলাকন্ঠকে তিনি বলেন, “রাত ১০ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত করা গেলে ভালো হতো। একটি ট্রেন থেকে অন্য ট্রেন ছাড়ার মধ্যবর্তী সময়কে ৮ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিট করলে যাত্রীদের জন্য ভালো হয়।
“৮-১০ মিনিটের মধ্যে স্টেশনে অনেক যাত্রী জমে যায়। মতিঝিল থেকে ট্রেন ছাড়লে সেটি প্রেসক্লাব এসেই পূর্ণ হয়ে যায়। তাই ট্রিপ বাড়ানো দরকার।”
‘এখন সেই চাপ থাকবে না’
মেট্রোরেল হওয়ার আগে গণপরিবহনের স্মৃতিচারণ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রফিকুল ইসালম বলেন, “আগে মিরপুর থেকে ফার্মগেট অফিসে আসতে জ্যামের কারণে আড়াই ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টা লাগত। মেট্রোরেল হওয়ার উপকারিতা হচ্ছে মিরপুর থেকে ফার্মগেট আসতে আমার সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট।”
বাসা থেকে ১০ মিনিট আগে বের হলেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন আরও দুই মিনিট কম সময় লাগবে। এখন লাগবে ৮ মিনিট। সন্ধ্যায় অফিস থেকে যখন বাসায় ফিরি তখন যে পরিমাণ মানুষের ভিড় থাকে, সে ভিড় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কারণ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। আগে ট্রেন কম ছিল, ট্রেনে চাপ ছিল। এখন সেই চাপ থাকবে না। মানুষের চলাফেরা করতে সুবিধা হবে। স্বস্তি দ্বিগুন হবে।”
এসেই ট্রেন ধরতে পেরে অবাক
“আমি তো ভেবেছিলাম আজকে আমার ট্রেন মিস হয়ে যাবে”- শনিবার সকাল ১০টার দিকে এভাবে নিজের শঙ্কার কথা বলছিলেন ফার্মগেইটের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিগার সুলতানা রিতু।
তিনি বলেন, “কিন্তু এসে দেখি চার মিনিট পর আবার পাইছি। একটা যেতে না যেতে আরেকটা ট্রেন চলে এসেছে। মেট্রো চালু হওয়ার পর থেকেই মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেট আসা-যাওয়া করছি।”
এমআরটি পাস আছে জানিয়ে রিতু বলেন, “এজন্য টাকাও কম লাগছে, ট্রেনে উঠতেও সময় কম লাগছে।”
মেট্রোর নতুন সূচি ও ট্রিপ বাড়ানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ফিরতে একটু সমস্যা হয়। তবে আমার মনে হয়, এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত।”
মেট্রোরেলের নতুন সূচি স্বস্তি এনে দিয়েছে মিরপুরের নুরুল আনামকে। প্রায় প্রতিদিনই মিরপুরের পল্লবী থেকে সচিবালয়ে যাতায়াত করেন তিনি।
কারওয়ান বাজারে মেট্রোরেল স্টেশনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বলেন, “অবশ্যই স্বস্তির খবর। আজকে ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় কম ছিল। ছুটির দিন ছিল। ট্রেনটা দ্রুত পাওয়া গেছে। খুব আরামে আছি।”
কর্মদিবসের প্রসঙ্গ টেনে এই যাত্রী বলেন, “অফিস যেদিন থাকবে সেদিন আরও স্বস্তি হবে। ভিড় কম হবে।”
পল্লবীতে আটকা আইরিন-জয়
নতুন সূচি স্বস্তি আনবে এমন আশায় শনিবার দুপুরে পল্লবী স্টেশনে গিয়েছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আইরিন সুলতানা। অফিসের জন্য আগারগাঁও স্টেশন যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আটকা পড়েন ট্রেনে।
এ নিয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই যাত্রী। বিকাল ৩টা ৭ মিনিটে তিনি বলেন, “পল্লবী স্টেশনে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মেট্রো থেমে আছে। মাঝে দুবার দরজা খুলেছে। এখন সবাই বন্ধ দরজায় আটকা।”
বিকাল ৩টা ৯ মিনিটে আইরিন বলেন, “এখন আবার দরজা হা করে খুলে দিল।”
ক্ষুব্ধ আইরিন ৩টা ২০ মিনিটে বলেন, “বাইরে আসলাম। মেট্রোরেলের লোকজন বলছে, কাজ চলছে। দরজার সিগনাল পাচ্ছে না। কতক্ষণ লাগবে বলা যাচ্ছে না।”
পল্লবী স্টেশনে আটকা পড়েছিলেন আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সামসুজ্জামান জয়। তিনি দুপুর আড়াইটার দিকে পল্লবী থেকে আগারগাঁও যেতে উঠেছিলেন মেট্রোতে। কিন্তু আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে ছিলেন।
সামসুজ্জামান জয় বলেন, “প্রায় আধা ঘণ্টা হবে আটকে আছি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে আছে। তবে বুঝতেছি না কী হয়েছে।”
ট্রেনে প্রচুর ভিড় জানিয়ে তিনি বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। তাই প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী আটকে আছে।”
‘বিড়ম্বনার অপর নাম মেট্রো ট্রেন’
ঢাকা মেট্রোরেল হেল্পলাইন নামে ফেইসবুকে ২৩ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপ আছে। এই গ্রুপে শনিবারের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এমডি গোলাম মোস্তফা নামে একজন লিখেছেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আজকে অনির্দিষ্ট টাইমের জন্য মেট্রো চলাচল বন্ধ আছে। এটা স্বাভাবিক ভোগান্তি। বাঙালি হিসেবে আমাদের এসব আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে হবে।”
আব্দুল ওয়াজেদ নামে একজন লিখেছেন, “বিড়ম্বনার অপর নাম মেট্রো ট্রেন।”
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার এই সেবা না থাকায় অনেকের আক্ষেপ আছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি সকাল সন্ধ্যা কথা বলে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “আমাদের এখানে মেট্রোরেল প্রকল্পটি এখনও শুরুর পর্যায়ে আছে। সেটির ঠিকমতো মেইন্টেন্যান্স কাজের জন্য আপাতত সপ্তাহে একটি দিন বন্ধ রাখা হয়। তবে পুরোদমে চালু হলে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না।”
কত যাত্রী টানছে মেট্রোরেল
ঘণ্টায় ৬০ হাজার, দিনে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের। সেই লক্ষ্য পূরণে সময় লাগবে বলে সকাল-সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্র্যানজিট ডেভেলোপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন ৬) গণসংযোগ বিভাগের উপ প্রকল্প পরিচালক উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, “আমাদের টার্গেট প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে মোট ৫ লাখ যাত্রী মেট্রোতে যাতায়াত করবে। এই টার্গেট এখনই পূরণ সম্ভব নয়। মেট্রোরেল যখন পুরোদমে মধ্যরাতেও চলবে তখন এটা পূরণ করা সম্ভব হবে।”
গত ১৫ দিনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
শনিবার থেকে ২৬ ট্রিপ বাড়ায় যাত্রী কত বাড়তে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা তো এখন বলা সম্ভব না। তবে কিছু যাত্রী তো বাড়বেই।”
শনিবারের ঘটনার কারণ জানা যায়নি
শনিবার দুপুরে ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে ডিএমটিসিএলের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কেটে দেন।
জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনও কথা বলতে পারব না। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আছে। আপনি তাকে ফোন করুন।”
পরে তার কথা মতো ঢাকা ম্যাস র্যাপিড র্ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) উপসচিব ও উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) তরফদার মাহমুদুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এসময় তিনি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেনকেই ফোন করার পরামর্শ দেন। এরপর একাধিকরার তাকে ফোন করা হয়, পাঠানো হয় ক্ষুদে বার্তাও। তবে তার কোনো সাড়া মেলেনি।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। পরদিন থেকে সর্বসাধারণ মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন।
এরপর গত ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরদিন উত্তরা হতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়।
সর্বশেষ গত ৩১ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশন চালু হয়। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ লাইনের ১৬টি স্টেশনই চালু হয়। গুরুত্বপূর্ণ দুই এলাকা শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার স্টেশন চালু হওয়ায় যাত্রীদের চাপ, প্রত্যাশা দুটোই বাড়ে।
নতুন সূচি
নতুন সূচি অনুযায়ী, মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটা ট্রেন চলবে। এটা স্পেশাল অফপিক আওয়ার। এরপর ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ পর্যন্ত পিক আওয়ারে ৮ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। এরপর ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ৩টা ১১ মিনিট অফ পিক আওয়ারে আগের মতোই ১২ মিনিট সময় থাকবে। বিকাল ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পর ট্রেন চলবে।
মতিঝিল স্টেশনে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তিনটা ট্রেন চলবে। এরপর ৮টা থেকে ১২টা ৮ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার। ১২টা ৯ মিনিট থেকে ৩টা ৫২ পর্যন্ত অফ পিক আওয়ার। ৩টা ৫২ থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে ট্রেন চলাচল করবে।
উদ্বোধনের পর থেকে প্রথম কিছুদিন সকাল ৮.৩০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলাচল করে মেট্রোরেল। তবে ৩১ মে ২০২৩ থেকে সময়সীমা বৃদ্ধি করে দুপুর ১২টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ৩১ মে থেকে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
ঢাকা শহরের চিরচেনা যানজট এড়াতে মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয় মেট্রোরেলের। ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পর শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলত।
কেবি/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
Share your comment :