স্মৃতিসৌধে ও শহীদ মিনারে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা।
এর আগে গত ১০ আগস্ট দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। পরদিন রাষ্ট্রপতি তাকে শপথ পড়ান।
এর আগে ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। তারপর আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
এদিন সকালে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। এ খবরে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।
পদত্যাগ করা আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফরি সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. কাশেফা হোসেন।
এখন আপিল বিভাগে শুধু রইলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রিও নেন।
১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
এএ/
Share your comment :