২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম


বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট :
বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। প্রেসিডেন্টের সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে রোববার বিকাল ৩টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বের হন ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা সবাই আন্দোলনের সমন্বয়ক। এর আগে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে প্রবেশ করেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা অবরোধ অবস্থানের পাশাপাশি স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। কোটা সংস্কারের এখতিয়ার একমাত্র সরকারের। আমরা চাই রাষ্ট্রপতি জরুরি অধিবেশন আহ্বান করবেন। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান করেছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করা হোক। আমরা চাই না কোনো কঠোর কর্মসূচি দিতে।

আমরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব। এই সময় পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহবাগ থানায় হওয়া মামলা না সরানো হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছি। তিনি বলেছেন-তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করেছেন। আমরা স্মারকলিপিতে অযৌক্তিক কোটাগুলো বাতিল করে মাত্র ৫ শতাংশ রাখার কথা বলেছি।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বষোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা পুলিশী বাধার মুখে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের কাছে যান ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এর আগে এদিন সকাল ১১ টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে গণপদযাত্রা নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা করেন তারা।

সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) আইন পাশ করতে হবে—এই এক দফা দাবিতে এ গণপদযাত্রা করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রধান মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা।

রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা করে প্রেসিডেন্টের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে ছাত্র ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Share your comment :