৯ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কাজ
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পর ৪ নম্বর ভবন বাদে সবগুলো ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়।
এতে বিঘ্নিত হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢুকলেও ভেতরে কোনো দাপ্তরিক কাজকর্ম হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সচিবালয়ের চার নম্বর ভবন ছাড়া কোনো ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। খোলা হয়নি দপ্তর। অনেক দপ্তরে এখনও তালাবদ্ধ। সবাই যে যার মতো অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে, কেউ বেরিয়ে আসছেন।
এদিকে দাপ্তরিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় অনেক কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। তারা সচিবালয়ের পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেলেও কোনো কক্ষেই প্রবেশ করা হচ্ছে না। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ নেই।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের একাংশ পুড়েছে। পুরো ভবন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বেরিয়ে আসছি।
ছয় নম্বর ভবনে থাকা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মী আফসানা আক্তার বলেন, অন্য ভবনে আগুন লাগলেও আমাদের ভবনে বিদ্যুৎ না থাকায় ঢুকতে পারছি না। সেজন্য বেরিয়ে আসছি।
একই কথা বলেছেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রাজিব আহমেদ।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ১৯টি ইউনিট ও ২১১ জন ফায়ার কর্মী কাজ করেছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে একে একে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ১১টি ইউনিট যুক্ত হয়।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
তবে ৭ নম্বর ভবনে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ তথ্য দেন।
এএ/
Share your comment :