রাজধানীতে নিহত ৯, ঢামেকে গুলিবিদ্ধ ২২৭
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে সংঘর্ষ, গুলি,পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া রাত ৮টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে ২২৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সাত জন ও মির্টফোর্ড হাসপাতাল মর্গে একজন ও উত্তরার একজনসহ মোট ৯ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত হওয়া গেছে। ঢামেকের মর্গে নেওয়া লাশের মধ্যে তিনজন ছাত্র, তিনজন অজ্ঞাত ও একজন ভ্যানচালক।

ঢামেকে নিহতরা হলেন, শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের বিবিএর ছাত্র আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, কারওয়ান বাজারে কবি নজরুল কলেজের ছাত্র তাহিদুল ইসলাম, শাহবাগে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে অজ্ঞাত পুরুষ, ফার্মগেট এলাকায় ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রমিজ উদ্দিন, ঝিগাতলায় অজ্ঞাত কিশোর, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভ্যানচালক রিয়াজুদ্দৌলা ও পিটিয়ে হত্যার শিকার হওয়া অজ্ঞাত যুবক। এছাড়া মির্টফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয় গুলিস্তানে হামলায় নিহত জহির উদ্দিন ওরফে রেজাউলের লাশ। অপর দিকে উত্তরায় মারা যান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম। তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ, শনির আখড়া, নয়াবাজার, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, প্রেসক্লাব এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২২৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরমধ্যে ৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঢামেক মর্গে মোট সাতজনের লাশ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আট জন, উত্তরার হাসপাতালে ২২ জন ও মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আলোক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দুই শতাধিক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। মির্টফোর্ড ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও গুলিবিদ্ধ বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপতালে বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়েছে।
এএ/

Share your comment :