ফের আপন ভুবনে বিপিএলের জিয়া
সিলেট প্রতিনিধি
সন্তান ভীষণ অসুস্থ। এমন অবস্থায় কার দুনিয়া ঠিক থাকে? বাবা জিয়াউর রহমান তাই বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিতে দুইবার ভাবেননি।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিকে জানিয়েছিল, অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানকে বিপিএলের দশম আসরে আর দেখা যাবে না।
তবে স্বস্তির খবর, জিয়া অবশেষে ফিরেছেন বিপিএলে। প্রচণ্ড অসুস্থ কন্যা সন্তানকে নিয়ে গত কয়েকদিন ঢাকা-ব্যাংকক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। এখন ৮ বছরের মেয়ে কিছুটা সুস্থ। তাই উৎকণ্ঠাকে পাশ কাটিয়ে নিজের ভুবনে ফিরেছেন জিয়া।
মেয়ের এখন কী অবস্থা? রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে জিয়া বলছিলেন, ‘আমার বাচ্চা হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ও ভালো আছে। এখন ওষুধ চলছে ওর। ডাক্তার তিন মাসের একটা কোর্স দিয়েছে। ওটাই চলছে। ’
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি জিয়া। এরই মধ্যে চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, জিতেছে তিনটিতেই। জিয়া দলের সঙ্গে থাকতে না পারলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি তার সঙ্গে ছিল। সমর্থন দিয়ে গেছে কঠিন সময়ে।
এই প্রসঙ্গে জিয়া বলেন, ‘মানুষের বিপদে যদি মানুষ না থাকে, তাহলে কিন্তু মানুষ বলা যাবে না। এটা কিন্তু স্বাভাবিক নিয়ম, আপনি বিপদে পড়েছেন আমি পাশে থাকবো। আসলে অনেক সময় হয় না, দেখি আমরা। কিন্তু আমার দল আমাকে মানসিকভাবে খুব সমর্থন দিয়েছে। ’
‘সবসময় আমার পাশে ছিল, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, খোঁজ নিয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, সন্তানের বাবা হিসেবে আমি খুশি। তারা আমাকে কোনো চাপ দেয়নি। তারা বলেছে আপনি থাকেন, আপনার যা যা সাহায্য লাগলে আমরা করব। বাচ্চার পাশে থাকেন’-জিয়ার কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা।
বিপিএলে আগামীকাল (সোমবার) চট্টগ্রাম দিনের প্রথম ম্যাচেই নামবে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। সিলেট তিন ম্যাচে তিনটিতেই হেরেছে। অন্যদিকে চার ম্যাচে তিনটিতে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
তবে জিয়া নিজেদের দলকে এগিয়ে রাখতে নারাজ। তার কথা, ‘ছোট ফরম্যাট। একটি দল খারাপ করেছে বলেই কালও খারাপ করবে, আমরা ভালো করছি বলে কালও ভালো করব; এটা তো বলা যায় না। বরং নির্দিষ্ট দিনে যে দল ক্লিক করবে, সেই দলই জিতবে। প্রতিটা দলই শক্তিশালী। আমরা ভালো করছি, এটাকে ধরে রাখতে হবে। ওরাও তো চাইবে ঘুরে দাঁড়াতে। মোমেন্টাম পেলে ওরাও ভালো করবে।’
সিলেট খেলবে ঘরের মাঠে। তবে এটাকে চাপ মনে করেন না জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে চাপ মনে করি না। দর্শক মাঠে থাকলে খেলাটা এনজয় করা যায়। আমি এটা উপভোগ করি।’