গ্রামীণ ব্যাংক কোনো ব্যক্তির নয় -চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক কোনো ব্যক্তির নয়। ক্ষুদ্র গ্রাহকরাই এর মালিক। সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা হয় তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। এ প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় দেখাশোনা করে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্র্রতি পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তে গ্রামীণ ব্যাংকের ৭টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস (নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস) ব্যবসার মুনাফা দিয়ে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান করেননি। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ড. ইউনূসের কোনো প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেনি। সবকিছু আইন মেনে করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূসের নয়; বরং গ্রামীণ ব্যাংকের।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস বলেন, তার আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এমন অভিযোগের জবাব দিতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, ড. ইউনূস আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করলেও প্রকৃত সংখ্যা ৭টি। তা হলো- গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক মূলত গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় করা হয়েছে। এর মালিক গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ গ্রাহক। ড. ইউনূস একটি টাকাও দেননি। তার কোনো কাগজপত্র নেই। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করেছি। কোথাও ড. ইউনূসের মালিকানার কথা উল্লেখ নেই। দেরিতে হলেও এসব প্রতিষ্ঠানে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনো জবর দখল করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রমাণ ও কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তা উদ্ধারে চেষ্টা চলমান রয়েছে। প্রয়োজনে ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তথ্য-প্রমাণ উদ্ধার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Share your comment :