সাভারে দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
সাভার প্রতিনিধি:
সাভারের আশুলিয়ার একটি মাদরাসা থেকে আবু বকর সিদ্দিক (১২) নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পরিবার।
আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার মুন্সীবাড়ি গোলাম নবী হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে শনিবার (২০ এপ্রিল) নিখোঁজ হয় আবু বকর। সে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাচামড়া ইউনিয়নের কৈল পূর্বপাড়া এলাকার মো. নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। এক বছর ধরে ওই মাদরাসায় পড়াশোনা করছে সে।
আবু বকরের বাবা নুরুজ্জামান মোল্লা বলেন, গত শনিবার আমার ছেলে মাদরাসায় যায়। গিয়ে মাদরাসার হুজুরের মোবাইল দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলে। হুজুরও নিশ্চিত করেন আবু বকর মাদরাসায় পৌঁছেছে। সেদিন আসরের নামাজের পর থেকে নাকি আমার ছেলে নিখোঁজ হয়।
তিনি বলেন, মাদরাসার হুজুর আমাকে রোববার ফোন করে জানান, আগের দিন বিকেল থেকে আবু বকরকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমি আমার সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজখবর নেই। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি। পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকাল থেকে মাইকিং করছি।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের গায়ে সাদা জুব্বা, পায়জামা ও পায়ে বার্মিজ জুতা ছিল। আমি ওই মাদরাসায় শিক্ষার্থী নির্যাতনের কোনো ঘটনা কখনো শুনিনি। এছাড়া আমার কোনো শত্রুও নেই। কোনো কিছু অনুমান করতে পারছি না। আমি শুধু আমার সন্তানকে চাই।
কবিররপুর মুন্সীবাড়ি গোলাম নবী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, শনিবার বিকেলে মাদরাসায় আসে আবু বকর। পরে আরও দুই শিক্ষার্থীসহ সে পাশের বাজারে গিয়ে ফুসকা কিনে খায়। এরপর দোকানদারকে টাকা দিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বসিয়ে রেখে সে প্রস্রাব করার কথা বলে চলে যায়। পরে আর ফিরে আসেনি।
এদিকে গত রোববার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ঘোষবাগ মোহাম্মদীয়া হেফজুল কোরআন মাদরাসা থেকে মো. নাইমুল ইসলাম নাইম (১৪) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় জিডি করে।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল নেভি ব্লু কালারের হাফ হাতা টি শার্ট ও কমলা রংয়ের চেক লুঙ্গি। সে খুলনা জেলা সদরের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, গত ২০ এপ্রিল আশুলিয়ার কবিরপুরের একটি মাদরাসা ও ২১ এপ্রিল নিশ্চিন্তপুরের একটি মাদরাসা থেকে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের পরিবার জিডি করেছে। পুলিশ দুই ঘটনাই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
Share your comment :