ফের রওশনের ইউটার্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনীতিতে ঠিক যেন প্রয়াত এরশাদকেই কপি করে চলছেন তার রেখে যাওয়া স্ত্রী রওশন। সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলে যেমন সারাক্ষণ আলোচনায় থাকতেন সাবেক স্বৈরশাসক ও রাষ্ট্রপতি এরশাদ, এখন তারই পথে হাঁটছেন সাবেক এ ফার্স্টলেডি রওশন।
সূত্র জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বঘোষিত জাতীয় পার্টির একাংশে চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থায় থেকে উত্তরণের জন্য নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কিন্তু এই কথা বলার ৫ দিনের মাথায় আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সুর পাল্টিয়ে তিনি বললেন, জাপায় কোনো বিভেদ নেই। যারা পল্লীবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চায়, তারাই আলাদা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশান নিজ বাসভবনে জাতীয় মহিলা পার্টির মতবিনিময় সভায় রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, পার্টিতে কোনও বিভেদ নেই। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতি অনুরক্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনও মতানৈক্য নাই। যারা পল্লীবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলতে চায়, তারাই আলাদা হয়ে থাকতে পারে।
রওশন বলেন, আমি কোনোভাবেই পার্টিকে ছোট করতে পারি না। তাই এরশাদভক্ত যাদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিলো-যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিলো কিংবা যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিলো- আমি তাদের সবাইকে পল্লীবন্ধুর রেখে যাওয়া পতাকাতলে ফের নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক ধারা প্রবর্তন করে যেতে চাই। সেই রাজনীতির ধারক এবং বাহক হবে, জাতীয় পার্টি।
এসময় রওশন এরশাদ আরো বলেন, জাতীয় পার্টির অগণিত নেতা-কর্মীর মনের যন্ত্রণা মোছানোর জন্যই আমাকে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। ৯ মার্চ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পার্টি পরিচালনার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব, তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন তিনজন নারী। তারা কেউ ব্যর্থ নন। এটা দেশের নারী সম্মানের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দলের মহাসচিব কাজী মামুনূর রশিদ, রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
কেবি/২৩-২-২৪
Share your comment :