লক্ষ্মীপুরে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত ২০
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
লক্ষ্মীপুরে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পৌরসভার মুক্তিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পৌরসভার মুক্তিগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে হৃদয়। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ইউসুফ ও সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে সুজন।
আহতরা হলেন-মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, মো. সুমন, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ অন্তত ২০ জন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন অন্তত ২০ জন। এরমধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা নেই। এছাড়া হার্টসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন। আমরা অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকা উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।’
গ্রীণ লাইফ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. আল-আমিন বলেন, ‘নিহত তিনজনই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। আহত ব্যক্তিরাও অটোরিকশায় গ্যাস নেওয়ার জন্য পাম্পে অপেক্ষারত ছিলেন। আহতদের মধ্যে বাস চালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ করে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। তাৎক্ষণিক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকট শব্দে তাৎক্ষণিক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটে।’
এএ
Share your comment :