স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫

স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫

বাংলাকণ্ঠ ডেস্ক:
স্পেনের পূর্বাঞ্চলীয় ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চল, পাশের আলবাসেত ও কুয়েঙ্কা প্রদেশে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫-এ দাঁড়িয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দেশটির টেরিটোরিয়াল পলিসি অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক মেমোরি বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টোরেস এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভ্যালেন্সিয়া ও আলবাসেত ও কুয়েনকা প্রদেশের কিছু অংশে প্রতি বর্গমিটারে ৪০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বন্যার ফলে দেশটির পূর্ব উপকূল, মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়ার মধ্যবর্তী প্রধান সড়কসহ ৬০টির বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় ট্রেন পরিষেবাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভ্যালেন্সিয়া ও দেশটির রাজধানীর মধ্যে সংযোগকারী উচ্চগতির রেল পরিরেষবাগুলোও স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার পূর্বাঞ্চলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, স্পেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যায় বাড়িঘর-গাড়ি ভেসে গেছে। সড়ক ও রেলপথ ডুবে যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
উদ্ধার তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য একটি ক্রাইসিস কমিটি গঠন করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। এ ছাড়া বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় স্পেনের জরুরি রেসপন্স ইউনিটের ১ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ভ্যালেন্সিয়ার উটিয়েল শহরের মেয়র রিকার্ডো গ্যাবালদোন জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিভিইকে বলেছেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন। আমরা ইঁদুরের মতো আটকা পড়েছিলাম। রাস্তায় গাড়ি ও আবর্জনার কনটেইনার ভেসে আসছিল। পানি ৩ মিটার পর্যন্ত উঠে গেছে।’
উটিয়েল শহরের বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান মেয়র।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় অনেক এলাকায় হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। দুর্গম এলাকাগুলোয় উদ্ধারকাজ চলছে।
উপড়ে পড়া গাছ ও বিধ্বস্ত যানবাহনের কারণে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ সহজ করার জন্য লোকজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মাজন।
ভ্যালেন্সিয়ার ব্যারিও দে লা টোরে গ্রামের পানশালার মালিক ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েনা ফোনে বলেন, আশপাশ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার গভীর কাদায় ডুবে গেছে সব। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সবকিছু।
বুধবার সকালে ভ্যালেন্সিয়ায় বৃষ্টি কমে গেলেও স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এএ/

Share your comment :