দেশে ফিরলেই হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে: টুকু
বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কোনোদিন দেশে ফিরতে পারবে না। দেশে ফিরলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।
তাই মিছিল করার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন এখন পুলিশ আপনাদের সঙ্গে থাকবে না। জনগণ আপনাদের প্রতিহত করবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের গয়লা ঈদগাহ মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সুমন, লতিফ ও রশিদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১-৭৫ পর্যন্ত গুম খুন করেছে। সিরাজগঞ্জে চারটি ক্যাম্প স্থাপন করে অনেক মানুষকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলা হয়েছিল। যমুনা নদী কথা বলতে পারলে আজ সব বলে দিতো। এসব কারণে আওয়ামী-বাকশাল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল হয়েছিল। আর বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের লাইসেন্স দিয়েছিল। তারপর আওয়ামী লীগ রাজনীতি ফিরেছিল। এরপর ক্ষমতায় এসে মানুষে ওপর কি পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন, দুনীতি-লুটপাট করেছে তা জনগণ এরই মধ্যে জেনে গেছে। বিরোধীদলের নেতাকে দমন করতে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জের প্রতিটি নেতাকে ২০-২৫টি করে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে।
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থেকেছে তখনই মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম ও খুন করেছে। আওয়ামী লীগ চারিত্রিকভাবে ফ্যাসিস্ট, রক্তপিপাসু ও চারিত্রিকভাবে বিরোধীদল নিধনকারী। তারা একদলীয় শাসন কায়েকম করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য আতঙ্ক।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালতের বিচার হাসিনার মনের মতো হয়নি। তাই আরেকটি কোর্টে মামলা দিয়ে আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমিও আল্লাহকে বলেছিলাম হাসিনার জেলে আমি জেল খাটবো না-প্রয়োজনে আমার লাশ দেশে যাবে। আল্লাহ দোয়া কবুল করেছে। আজ সে হাসিনার বিরুদ্ধে সত্য কথা বলার জন্য আমাকে আল্লাহ তায়ালা দেশে এনেছে।
সাবেক এ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সিরাজগঞ্জের জন্ম হয়েছিল এক রাজার। তার নির্দেশে আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আসলেও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার নির্দেশে বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদকে দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাকে একবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
একজন স্কুল শিক্ষিকা ১৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। একজন চেয়ারম্যান ৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? সব টাকাই জনগণের টাকা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সমাবেশে শেষে তিনি তিনজন শহীদ পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জ শহর বিএনপির উদ্যোগে জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম, শ্রী অমর কৃষ্ণদাস ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম।
এএ/
Share your comment :