ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়নি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি ছাড়াই মিসরের কায়রো ছেড়েছে হামাসের প্রতিনিধিদল। তবে সশস্ত্র দলটি বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শেষ হয়নি।
আশা করা হয়েছিল, আগামী সপ্তাহে রমজান মাস শুরু হওয়ায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। গাজায় দুর্ভিক্ষের আরও লক্ষণ দেখা দেওয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।
মিসরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা এমন একটি চুক্তির জন্য চেষ্টা চালায়, যাতে ইসরায়েলের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করে দেয়।
ইসরায়েল কায়রোতে কোনো প্রতিনিধিদল পাঠায়নি। তাদের ভাষ্য ছিল, তারা বেঁচে থাকা জিম্মিদের তালিকা চায়, যাদের চুক্তির অধীনে মুক্ত করা হবে।
হামাস জানায়, ইসরায়েল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ফিরে যেতে দিতে কিংবা গাজার শহরগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি মেনে নেয়নি।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২শ লোকের প্রাণ যায়। গোষ্ঠীটি ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এর পর হামাস শাসিত গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
সেই থেকে গাজায় ৩০ হাজার ৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানিয়েছে।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতাদের সঙ্গে পরামর্শের জন্য তাদের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সকালে কায়রো ছেড়েছে।
আগ্রাসন বন্ধে, বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে আনতে এবং ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের অনুমোদনে আলোচনা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মিসরীয় টিভি চ্যানেলে আল-কাহেরা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলছে, আগামী সপ্তাহে আলোচনা আবারো শুরু হবে।
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে, বিনিময়ে ১০ গুণ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি এখনও হামাসের কাছে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরের শেষে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলাকালে ১০৫ জিম্মি মুক্ত হন। আর ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জনের মতো বন্দি মুক্তি পান।
এআর-৭/৩/২৪
Share your comment :