মেয়রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় মেরে রক্তাক্ত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর মাসুদ আলমকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে মাসুদ রায়পুর থানায় মহিন নামে যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মহিন মেয়র রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে শনিবার রাতে মেয়রের রায়পুর গাজী কমপ্লেক্সের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের নিচ থেকে ডেকে পাশের মন্দিরের ভেতরে নিয়ে মাসুদকে মারধর করা হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
ভুক্তভোগী মাসুদ রায়পুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। এ ছাড়া তিনি রায়পুর ব্লাড ডোনেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবে ৯০০ রক্তদাতা রয়েছে। এ পর্যন্ত তারা ৪৭৫০ ব্যক্তিকে বিনামূল্যে রক্তদান করেছেন।
অভিযুক্ত মহিন রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বয়াতি বাড়ির মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে।
আহতের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদ ফেসবুকে শনিবার বিকালে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন— ‘রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাটের নির্বাচনের সময় সহযোগী সংগঠনের প্রয়োজন হয়। আর এখন ভিজিএফ চালের কার্ড বিতরণে সহযোগী সংগঠনকে চিনেন না’।
এর পর এক ব্যক্তির অনুরোধে মাসুদ ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়রের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বয়াতি বাড়ির মহিন হোসেন মোবাইলে ফোন করে মাসুদকে মেয়রের অফিসের নিচে আসতে বলে। সেখানে আসলে তাকে পাশের মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার মুখে, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে রক্তাক্ত জখম হয়।
হামলাকারী মহিন হোসেন বলেন, আমার টিকটকে সে বাজে কমেন্টস করায় তাকে ডেকে এনেছি। মাসুদের সঙ্গে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে দেখি সে রক্তাক্ত।
Share your comment :