কী হচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে?

রবীন্দ্র
  © ফাইল ছবি

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দলন করে আসছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর এবার গণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী একনেক সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের (ডিপিপি) অনুমোদনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণ-অনশনে থাকা ১১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এ শিক্ষার্থীরা গণ-অনশন শুরু করেন। সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত ১১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের হাসান ও ওমর ফারুক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান, সাদমান, আবু সাঈদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুইজ, মাইশা, নাফিদ, আজিজ, মিলন, ইসারুল ও আলামিন। তারা জানিয়েছেন, হাসপাতালে না গিয়ে অনশন চালিয়ে যাবেন এবং একনেক সভায় ডিপিপি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার (জনসংযোগ দপ্তর) মো. শাহ্ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীরা একের পর এক অসুস্থ হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১১ জন অসুস্থ হয়েছেন। মেডিকেল টিম স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে, তবু তারা অনশন থেকে সরে আসছেন না।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, ‘আমরা বেলা ১১টা থেকে গণ-অনশন শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছি। আগামীকাল একনেক সভায় ডিপিপি অনুমোদন না হলে অনশন চলবে। আমাদের একটাই দাবি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দ্রুত অনুমোদন।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বর্জনের মধ্য দিয়ে ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে পথনাটক, শিকল ভাঙার গান ও প্রতীকী ক্লাসের আয়োজন করা হয়।

এর পরও সাড়া না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মানববন্ধন ও রোববার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বুধবার রেলপথ অবরোধের পর বৃহস্পতিবার যমুনা সেতুর পশ্চিমে সেতুর মুখে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

একনেক সভা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, স্থায়ী ক্যাম্পাস, ডিপিপি অনুমোদন, দাবি, অনির্দিষ্টকালের গণ-অনশন, ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ


মন্তব্য