ডাকসুর প্যানেল ঘোষণার আগে লন্ডন যোগাযোগে ছাত্রদল
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ AM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ AM

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে আবারও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণার পর সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। এদিন বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডাকসুর বিভিন্ন পদের জন্য মোট ৫৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া ১৮টি হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ফরম সংগ্রহ করেছেন ১ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী।
ভোটের মাঠে এবার পাঁচটি প্যানেল তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। এই প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট তাদের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে, যেখানে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি) এবং জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।
এছাড়া, ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি প্যানেল দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) এবং সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র একটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা এককভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও এখনও তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে গতকাল রাতেই প্যানেল চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছিলেন ছাত্রদলের জসীমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম।
গতকাল রাতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজ রাতে আমাদের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। তবে আজ যেহেতু মনোনয়নপত্র নেওয়ার শেষ দিন, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তা সংগ্রহ করেছি।’
ছাত্রদলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস পদে তানভীর বারি হামীম।
এদিকে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে তাদের প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি যোগ্য নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন।