শেষবেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিপি প্রার্থী শামীম

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। সে হিসেবে নির্বাচনের আর মাত্র দুইদিন বাকি। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ভিপি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সাদিক কায়েম ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমাও রয়েছেন আলোচনায়। তবে শেষবেলায় আরোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ডাকসু’র স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী সাতক্ষীরার মেধাবী তরুণ শামীম হোসেন।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর গ্রামের এই তরুণ শুধু তার নিজের জেলার মানুষেরই নয়, বরং সারা দেশের ছাত্রসমাজের কাছে হয়ে উঠেছেন এক নতুন আশার প্রতীক। তার নির্ভীক কণ্ঠস্বর আর আপোষহীন মনোভাব তাকে এনে দিয়েছে এক বিশেষ মর্যাদা।

আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা শামীম বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমএ (দ্বিতীয় সেমিস্টার) এর নিয়মিত ছাত্র। শিক্ষাজীবনের এই পথপরিক্রমা আর স্পষ্টবাদী চরিত্র তাকে ছাত্ররাজনীতিতে স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে।

তিনি প্রমাণ করেছেন, নেতৃত্বের জন্য বড় কোনো প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হয় না, বরং প্রয়োজন হয় সততা, সাহস আর দায়বদ্ধতা। শামীম হোসেনের মতে, ছাত্রসমাজের অধিকারের জন্য লড়াই করা মানে ভয় পাওয়া নয়, বরং নিজের আত্মমর্যাদার জন্য সোচ্চার হওয়া।

শামীম হোসেনকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ যে আহ্বান জানাচ্ছে, তার কারণ শুধু তার মেধা নয়, বরং তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। তিনি ন্যায়, সাহসিকতা এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন।

সাতক্ষীরার মানুষ থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত তার পক্ষে তাদের সমর্থন প্রকাশ করছেন। তাদের মতে, শামীম হোসেনের মতো একজন সৎ ও সাহসী তরুণই পারে ছাত্ররাজনীতির পুরনো ধারা ভেঙে নতুন করে গড়তে।

শামীম হোসেনের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, তরুণ প্রজন্মের মাঝে এখনো ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য প্রবল আগ্রহ বিদ্যমান। তারা এমন একজন নেতা চায় যে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে, কোনো প্রকার ভয় বা আপোষ ছাড়া।

তার লড়াই কেবল একটি নির্বাচনে জেতার জন্য নয়, বরং ছাত্রসমাজের অধিকার ও সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য। শামীম হোসেনের মতো প্রার্থীরাই আগামী দিনের সুস্থ ছাত্ররাজনীতির পথপ্রদর্শক।