১৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

শিক্ষার্থী
  © ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।

এছাড়া একই অভিযোগে আরও ৮ শিক্ষার্থীকে চার সেমিস্টার, একজনকে তিন সেমিস্টার, ১১ জনকে দুই সেমিস্টার এবং ১৫ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮ শিক্ষার্থীকে সতর্কবার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান।

প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না—এটা উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। পরে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের ওই সভা হয়। এতে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীবুর রহমান, সহসভাপতিদের মধ্যে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া, পরিসংখ্যান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলা বিভাগের ইউসুফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিদ্যা (বিএমবি) লোকমান হোসেন।

এছাড়া সমাজবিজ্ঞানের তারেক হাসান, পদার্থবিজ্ঞানের সৈয়দ মা’জ জারদি, সিয়াম খান, পেট্রোলিয়াম ও খনি প্রকৌশল বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সায়মন, হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে সহসভাপতি ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের  শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অমিত সাহা, ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তরিকুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের মাহবুবুর রহমান, সমুদ্রবিজ্ঞানের মারবিন ডালি রিকি, সমাজবিজ্ঞানের শান্ত তারা আদনান ও লোক প্রশাসনের মামুন মিয়াকেও আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান হোসেন চৌধুরী (আরিয়ান) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হলে অস্ত্র-মাদক রাখার অভিযোগে আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন।

অন্যদিকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—রসায়ন বিভাগ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান (স্বাধীন), ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতিদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন শাহ, লোকপ্রশাসনের সাইমন আক্তার, পলিটিক্যাল স্টাডিজ  ফারহান রুবেল, সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন, বাংলা বিভাগের আইরিন আক্তার (লিনজা), নূর মোহাম্মদ (শৈশব), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ইমামুল হাসান (হৃদয়), লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের আজিজুল ইসলাম (সীমান্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা, ছাত্রলীগকর্মী ও বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম (সাজ্জাদ), লোকপ্রশাসনের সায়মন আক্তার, আমিনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানের মোহাম্মদ আলী মঈন ও সমাজকর্মের এম এন রাখায়াত হোসেন (নাবিল)।


মন্তব্য