যে কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত

যে কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক অবরোধ  © ছবি : সংগৃহীত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত স্কুল থেকে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এতে ওই মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।


মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৭টা থেকে উখিয়ার কোটবাজার এবং টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং এলাকায় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরীর আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে যান। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা–সংক্রান্ত সব প্রকল্পের কার্যক্রম বুধবার (৪ জুন) থেকে স্থগিত করা হয়। 

ভুক্তভোগী চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা জানান, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) অধীনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকেরা আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন স্কুলে কয়েক বছর ধরে পাঠদান করে আসছিলেন। সম্প্রতি তহবিল–সংকটের কারণ দেখিয়ে ১ হাজার ২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়। ছাঁটাইয়ের শিকার এসব শিক্ষক বাংলাদেশি ও স্থানীয় বাসিন্দা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুত শিক্ষক মোহাম্মদ ফারুক বরেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে আমাদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কুলগুলো পরিচালিত হয়। পরে স্কুলগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে রোহিঙ্গা শিক্ষক দিয়ে কম বেতনে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের আগে আমাদের অমানবিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা সড়কে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত চাকরিতে পুনর্বহাল  করা হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। 

আরেক শিক্ষক শেফায়েত বলেন, আমাদের যতক্ষণ পর্যন্ত চাকরিতে পুনর্বহাল করা হবে না ততক্ষণ ক্যাম্পে কোনো এনজিওর গাড়ি ঢুকতে পারবে না। আজকে ইউএনও মহোদয় আমাদের বিষয়টি সমাধান করার কথা জানিয়েছেন। তাই আমরা আপাতত আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত করেছি । 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা–সংক্রান্ত সব প্রকল্পের কার্যক্রম বুধবার (৪ জুন) থেকে স্থগিত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরি পুনর্বহাল না হবে, ততদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে  আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে আমরা আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি ।