তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বাঁশখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ

বিএনপি
  © সংগৃহীত

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকান্ড ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য ও কুরুচিপূর্ণ কটুক্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বাঁশখালীর প্রেমবাজারস্থ প্রধান সড়কে বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, তরুণ রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান আশিকের নির্দেশনায় বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইমরানুল হকের সঞ্চালনায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে, প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বারের এসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন অশালীন মন্তব্য ও কুরুচিপূর্ণ কটুক্তি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ওনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে সারা বাংলাদেশে এইভাবে বিক্ষোভে ফেটে পড়বে। কারণ তিনি জাতীয় নেতা। তিনি জিয়াউর রহমানের সন্তান। এই দেশে তারেক রহমানের একজন কর্মী বেঁচে থাকতে তার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করলে তার তীব্র প্রতিবাদ সারাদেশে অব্যাহত থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের বিকল্প নাই। তারেক রহমান যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন তা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এই ৩১ দফার আলোকে তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে সংস্কার ও উন্নয়ন করবেন। 

মনসুর বলেন, ‘এদিকে বাঁশখালীর মানুষ সৌভাগ্য। কারণ তারা মফিজুর রহমান আশিকের মতো একজন সৎ, ত্যাগী, দক্ষ ও মেধাবী ছাত্রনেতা পেয়েছেন। যিনি ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার আতঙ্ক, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন শীর্ষস্থানীয় নায়ক। তাকে দুইবার গুম করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তারপরও তিনি কখনো জিয়ার আদর্শ থেকে সরে আসেননি। যদি বাঁশখালীতে বিএনপি তাকে মনোনীত প্রার্থী করে, যদি তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তাহলে এই অবহেলিত জনপদ বদলে যাবে। কারণ তিনি অবিচার, অত্যাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রবর্তন করতে সক্ষম।'

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তারেক রহমান এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। তাকে বাদ দিয়ে দেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তার নামে কটুক্তিমূলক বক্তব্য আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে। পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসন ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় তারেক রহমানই এ দেশের সাধারণ মানুষের শেষ ভরসা।'

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একজন নির্যাতিত নেতা আছেন। তিনি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক। তিনি একজন সৎ, ত্যাগী, নির্যাতিত, নিষ্ঠাবান এবং নির্লোভ নেতা। যদি বিএনপি তাকে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করে, তাহলে বাঁশখালীর মানুষের জীবনযাত্রা ও ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসবে। তিনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াবেন। একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ছাত্রনেতা নেতৃত্বে এলে দেশ ও সমাজ বদলে যায়।'

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন, যুবনেতা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আনিসুর রহমান, যুবনেতা জুনাইদ করিম, অ্যাডভোকেট ইলিয়াস, শামশুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান, মাইমুনুর রশিদ, সেচ্ছাসেবকদল নেতা হেফাজ উদ্দিন মানিক, ছাত্রনেতা মিশকাত, আব্দুর রহমান, মিয়া প্রমুখ।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।'


মন্তব্য