খাগড়াছড়ি শান্ত, তবে...
- খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৩ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৩ PM

একটি ভুয়া ও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে নারকীয় তান্ডব চালানোর ৪দিন পর পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়ি আপাতত শান্ত রয়েছে। টানা ৪ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
মূলত জুম্ম ছাত্র-জনতা নামের একটি সংগঠন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাকের প্রেক্ষিতে অস্থির হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি। এ নিয়ে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। কিন্তু শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের ফেসবুক পেজে দেওয়া ঘোষণায় অবরোধ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
এর প্রেক্ষিতেই বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা সদর ও শহরতলীতে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাটও।
কিন্তু অবরোধ স্থগিত হলেও এখনও জনমনে আতঙ্ক রয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সেনা টহল, বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় আছে। কারণ যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে করার পাঁয়তারায় ব্যস্ত থাকে একটি মহল। কারণ অতীতেও এমন মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই জনমনে আতংক থেকেই থাকে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. ছাবের জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল রিপোর্ট পুলিশের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, অবরোধ চলাকালে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতায় ৩ জন নিহত এবং অনেকে আহত হন। গুইমারার রামসু বাজারসহ একাধিক দোকানপাট, বসতবাড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।