প্রাণ-আরএফএলের শতকোটি টাকা পাচার, তদন্তে সিআইডি
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৩ AM , আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৩ AM

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপসহ দেশের ১২০টি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে ১১২ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ পাচারের অভিযোগ এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ব্যাংক ঋণ নিয়ে পণ্য উৎপাদন করেছিল। উৎপাদিত পণ্য ইউরোপ, আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হলেও, বিক্রির বিপুল অর্থ তারা নিয়ম লঙ্ঘন করে দেশে ফেরত আনে নি। বরং বিদেশে অবৈধভাবে সম্পদ সঞ্চয় করেছে এবং বিলাসবহুল বাড়ি ও বিনোদনে অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া, কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণ ছাড়া শুধুমাত্র বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে পণ্য রপ্তানি করেছে। রপ্তানির আড়ালে ১৩.৫ কোটি ডলার (প্রায় ১৬৪৫ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সিআইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য রপ্তানির আড়ালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে ২.৩ কোটি ডলার (২৮০ কোটি টাকা) পাচার করেছে। যদিও সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করেছে ক্রিসেন্ট লেদার, যার পরিমাণ ১৭.২৬ কোটি ডলার (২০৯৫ কোটি টাকা)।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান বলেন, পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বিক্রির অর্থ অনেক কোম্পানি দেশে আর ফেরত আনেনি। এ ধরনের কোম্পানিগুলো শনাক্ত করেছে সিআইডি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধের সংখ্যার তুলনায় তদন্ত করার লোকবল কম। তাই কোম্পানিগুলোর পাচারের ঘটনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা অনুসন্ধান করছি। অনুসন্ধান শেষে অর্থপাচারকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মামলা করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত আগে কিংবা পরে হতে পারে। কিন্তু অর্থপাচারকারী কোনো কোম্পানিই তদন্তের বাইরে থাকবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান জসীম উদ্দিন খান।