মার্কিন পণ্যে শুল্কছাড়ের উদ্যোগ্যের নেপথ্যে.....
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৮ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৮ PM

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে সমঝোতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন আমদানি পণ্যে করছাড়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই আলোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কিছু পণ্যে আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং কিছু পণ্যে আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর পর্যায়ক্রমে কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হবে। পাশাপাশি ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এতে জনসাধারণের করের ভার কিছুটা লাঘব হবে এবং পণ্য রপ্তানিতে রপ্তানিবিরোধী পক্ষপাত কমবে। এর অর্থ হলো, এমন কোনো নীতি যা রপ্তানির তুলনায় আমদানিকে বেশি সুবিধা দেয় বা রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করে। ফলে দেশীয় উৎপাদকেরা রপ্তানিতে আগ্রহ হারাতে পারেন।
গত এপ্রিল মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যে আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। তবে এ সময় পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর রাখা হয়।
এই ৯০ দিন সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সমঝোতার আলোচনা করছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার ও কমানোর ঘোষণা দেওয়া হলো।
বাজেট বক্তৃতায় ট্যারিফ ও ন্যূনতম মূল্য যৌক্তিকীকরণ নিয়েও কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুল্ক যৌক্তিকীকরণের অন্যতম শর্ত হলো, বর্তমানে বলবৎ ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান সব শুল্ক মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, একই সঙ্গে ৮৪টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার এবং ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য বাড়িয়ে শুল্কমূল্য যৌক্তিক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বিদ্যমান ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে বাতিলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।