এবার প্রথম সচিবকে বরখাস্ত করল এনবিআর

এনবিআর
  © ফাইল ছবি

আন্দোলনের জেরে এবার আরেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নানা অজুহাতে বিভিন্ন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পর আজ সংস্থাটির প্রথম সচিব তানজিনা রইসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) শুল্ক-২ শাখা থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা রইসের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’—এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) এবং ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করেন। ফলে বিধিমালার বিধি ১২ (১) অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা বাংলাকন্ঠকে বলেন, সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান নিজের বলয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক মেধাবী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। এজন্য তিনি আন্দোলনে জড়িত একাধিক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামুলক অবসর, সাময়িক বরখাস্ত, স্ট্যান্ড রিলিজ ও বদলির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী এ আমলা তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদও বাগিয়েছিলেন। তার আমলেই ব্যাংকিং খাত মন্দ লোনের শিকার হয়। এনবিআরে আসাার পর বিগত অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় প্রায় এক লাখ কােটি টাকা কম আদায় হয়েছে। যার দায় তিনি কর্মকর্তাদের ঘাঁড়ে চাপাচ্ছেন বলেও অভিযােগ রয়েছে।


মন্তব্য