কারাগারে জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি বারকাত
- বাংলাকণ্ঠ ডেস্ক:
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ AM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ AM

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করলেও আদালত পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। শুক্রবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। দুদক ড. আবুল বারকাতের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আদালত রিমান্ড এবং জামিন আবেদন পরবর্তী তারিখে শুনবেন বলে জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর শুক্রবার দুদকের কাছে হস্তান্তর করার পর আদালতে তোলা হয় তাকে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।
এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুককে আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহাকে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা পিএলসির ভবন শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাত করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও মানিলন্ডারিং-এর মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।