আমেরিকার শুল্কারোপ

চামড়াখাতে উদ্বেগ

চামড়া
  © ফাইল ছবি

আমেরিকার বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় উদ্বেগ বাড়ছে চামড়া খাতের উদ্যোক্তাদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন শুল্ক নীতির কারণে রপ্তানিকারকদের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় চামড়াজাত পণ্য। তবে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপরও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ৮ থেকে ১০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি এ জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৭ কোটি ডলারের। রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাড়তি শুল্কারোপে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমে যাবে। এতে রপ্তানি কমার আশঙ্কা তাদের।  

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কোনো চামড়া যায় না। কিন্তু চামড়াজাত পণ্য সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি চামড়াজাত পণ্য বাড়তি শুল্কের আওতায় আসে, এবং এই শুল্ক দিয়ে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা খুবই কঠিন হবে এবং এটার প্রভাব সরাসরি ট্যানারিতে পড়বে।’ 

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশ ও বিদেশে চামড়ার পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রপ্তানি ধরে রাখতে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে রপ্তানিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানোর তাগিদ তাদের। 

আমেরিকার জুতা ও চামড়াজাত পণ্যের বার্ষিক বাজার ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এ বাজার ধরতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।


মন্তব্য