পুঁজিবাজারে নতুন সম্ভাবনা
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ AM , আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ AM

পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করতে যাচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ বছরের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
প্রাথমিকভাবে তিনটি পণ্যের—সোনা, রৌপ্য ও অপরিশোধিত পাম তেল—লেনদেন চালু হবে এই প্ল্যাটফর্মে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই বিনিয়োগ মাধ্যম চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আসবে, মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং পণ্যের নিরাপদ সরবরাহও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে পুঁজিবাজারে গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। একটানা দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু বিনিয়োগকারী। এই অবস্থায় বিকল্প বিনিয়োগ চ্যানেল হিসেবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর এই তোড়জোড় শুরু করেছে সিএসই। তবে এটি পরীক্ষামূলক লেনদেন হওয়ায় এখনই ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ বা গ্রহণপ্রক্রিয়া শুরু হবে না। কাগুজে বা ইলেকট্রনিক বিনিময়ই আপাতত চালু থাকবে। ভবিষ্যতে ওয়্যারহাউসভিত্তিক লেনদেন এবং পণ্যের পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে দেশের ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট এক নতুন পরিসরে প্রবেশ করবে। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি নতুন দিগন্ত। এটি কেবল নতুন প্রোডাক্টই নয়, বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ততা ও স্বচ্ছতা আনবে, লেনদেন সহজ করবে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তবে কার্যক্রম শুরু নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম লাভজনকভাবে পরিচালিত হতে হবে। তা না হলে সরকারি ভর্তুকি প্রয়োজন হবে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। তদুপরি, পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও গুরুত্বপূর্ণ।
সিএসই জানিয়েছে, আইন ও বিধিবিধান প্রণয়নপ্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আইন গেজেট আকারে প্রকাশের পর ব্রোকারদের অনুমোদন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ট্রেকহোল্ডারদের জন্য খসড়া আইন প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিগগির বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠানো হবে। সনদপ্রত্যাশীদের আবেদন নেওয়ার পর বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।