পরিবারসহ অবস্থান নেবেন এআইবিএল'র চাকরিচ্যুতরা
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:০১ PM

ই-মেইলের মাধ্যমে একযোগে চাকরি হারানো আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের (এআইবিএল) ৫৪৭ কর্মকর্তা অবিলম্বে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল মঙ্গলবার তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন শেষে তাঁরা এ ঘোষণা দেন। এর আগে দুপুর থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তারা। এ সময় তারা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে নানান বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম থেকে আসা এক কর্মকর্তা বলেন, গত ২০ জুলাই অফিস শেষ করে বের হওয়ার সময় হঠাৎ করে ই-মেইলে একসঙ্গে ৫৪৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হলেও কোনো কারণ ছাড়ায় অব্যাহতি দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই বৈষম্য আমরা মানি না।
সায়েদাবাদ থেকে আসা কর্মকর্তা (চাকরিচ্যুত) বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এআইবি ব্যাংকে চাকরি করেছি। আমাদের স্থায়ী নিয়োগ থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষ নতুন এজেন্ডা বাস্তবায়নে নতুন নিয়োগ দিচ্ছে। কোন আইনে তারা এটি করছে এর জবাব দিতে হবে।
সাতক্ষীরা থেকে আসা আরেক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা বলেন, আমরা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কয়েক বছর কাজ করে আসছি। যদি অযোগ্য হতাম তাহলে ইনক্রিমেন্ট ও স্থায়ীকরণ করেন কী করে? ব্যাংকের নীতিমালা না মেনেই আমাদের চাকরিচ্যুত করেছেন। এটা আমরা মানি না।
তিনি আরও বলেন, অনেকের চাকরি শেষ পর্যায়ে। অনেকের চাকরির বয়স নেই। অনেকের পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ। তাহলে হঠাৎ চাকরিচ্যুত করলে আমরা কোথায় যাব? কী কারণে আমাদের চাকরিচ্যুত করেছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলে আমরা পরিবার নিয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হব। দরকার হলে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হব।
কক্সবাজার থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাকন্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন শাখা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি একটি ইমেইলের মাধ্যমে আমাকেসহ ৫৪৭ জনকে বিনা নোটিশে বরখাস্ত করা হয়। কেন করা হয় সেটা আমরা জানি না।
এ ঘটনার পরপরই আমরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে চাকুরী ফেরতের দাবি জানাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির প্রতি মোটেও কর্ণপাত করেনি। তাই আজ থেকে আমরা ব্যাংকের সামনে কর্মসূচি পালন শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী কাল (মঙ্গলবার) আমরা ব্যাংকের সামনে কর্মসূচি পালন করবো। সেখানে আমাদের ৫৪৭টি পরিবারের সদস্যরাও যোগ দিবেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবার যেহেতু আমাদের উপর নির্ভরশীল তাই তারাও আমাদের সাথে কর্মসূচিতে যোগ দিবেন। ইতোমেধ্যেই আমাদের অনেকের পরিবারও আমাদের সাথে যোগ দিতে চলে এসেছেন। আমাদের এ অধিকার আদায়ের জন্য তারাও রাস্তায় নামবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের চাকুরী ফেরত না দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন—চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. নুরুল আকিব, শফিকুর রহমান, সালমা আফরিন ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।