হানডার বিনিয়োগে বিরাট কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ AM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৮ AM
-13033.jpg)
হংকংভিত্তিক টেক্সটাইল ও পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হানডা বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হানডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হান চুন এ বিনিয়োগ আগ্রহের কথা জানান।
প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল। এ উদ্দেশ্যে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকেও সই করে হানডা।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সক্রিয় সহযোগিতায় হানডা তাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলার করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশে তিনটি কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুটি গার্মেন্টস প্রসেসিং ইউনিট এবং একটি নিটিং ও ডায়িং ইউনিট থাকবে। এসব কারখানায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হানডা ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হান চুন বলেন, “বিডা, বেজা ও বেপজার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, যার ভিত্তিতে আমরা বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করতে চাই।”
বিডা, বেজা ও বেপজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হানডার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে অন্যতম বৃহৎ একক চীনা বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হানডার বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান এবং বলেন, “বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে আপনিই চীনা বিনিয়োগের পথিকৃৎ হোন এবং অন্য চীনা বিনিয়োগকারীদেরও এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করুন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশি ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে তারা বৈশ্বিক ক্রেতাদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।”
এ সময় হানডার চেয়ারম্যান হান চুন মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণাধীন কারখানার একটি নকশা উপস্থাপন করলে প্রধান উপদেষ্টা সেটি দেখে মন্তব্য করেন, “নকশাটি আমার কাছে যেন এক শিল্পকর্মের মতো মনে হচ্ছে।”
প্রথম পর্যায়ে ৮০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে মিরসরাইয়ে গার্মেন্টস কারখানা স্থাপনের জন্য জমি ইজারার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বুধবার।
দ্বিতীয় পর্যায়ের জমি বরাদ্দ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।