সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে কেন অপসারণ চায় বিএনপিপন্থীরা?

ব্যাংক
  © ফাইল ছবি

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর অপসারণের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)। সংগঠনটির অভিযোগ, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী আওয়ামী শাসনামলের অন্যতম সুবিধাভোগী এবং ‘লুটপাট অর্থনীতির থিংক ট্যাংক’ হিসেবে পরিচিত।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জেবিএবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাজধানীতে জেবিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে পেশাজীবী ব্যাংকারদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি উত্থাপন করা হয়।

সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন এবং সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরীর অপসারণ না হলে জুলাই-আগস্ট চেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তারা আরও বলেন, মুসলিম চৌধুরী অতীতে অর্থ সচিব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়ে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিস্তৃত অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ চুরির মতো বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটেছে তার সচিবকালেই। সিএজি হিসেবে তার স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ বিভাগের কোনো তহবিল ছাড় সম্ভব ছিল না—এমন দাবি করে জেবিএবি নেতারা বলেন, তিনি বিগত সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না।

এছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব কর্মকাণ্ডে মুসলিম চৌধুরীর মদদ ছিল।

আলোচনা সভায় আরও বলা হয়, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর পরিবার চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে বংশানুক্রমে যুক্ত। একজন দলীয় সুবিধাভোগীকে দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বসানো ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ও চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী’ বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।


মন্তব্য