ভারতে পোশাক কারখানা বন্ধের হিড়িক
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩২ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩২ PM

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে ট্রাম্পের ঘোষিত এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তবে এর আগেই এর প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে ভারতের বাজারে। এই শুল্কের জেরে ভারতের ৩টি বড় শহরের টেক্সটাইল ও পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার তেল কেনার জন্য জরিমানা হিসেবে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস সি রালহান বলেন, ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতার কারণে বস্ত্র উৎপাদকরা তিরুপুর, নয়ডা এবং সুরাটে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে কম খরচে তৈরি হচ্ছে পোশাক। আমরা এসব প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে আছি। খরচ বাড়ায় প্রতিযোগিতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারা সরকারের অবিলম্বে সহায়তা চেয়েছে।
এফআইইও সভাপতি এস সি রালহান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের প্রবাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তিনি এটিকে বড় ধাক্কা আখ্যা দিয়ে বলেন, ৩০-৩৫ শতাংশ মূল্যহীন অবস্থান তৈরি হওয়ায় ভারতীয় রপ্তানি পণ্য চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও অন্যান্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। ইতোমধ্যেই ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ কম দামের কারণে বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সামুদ্রিক খাদ্য- বিশেষত চিংড়ির ৪০ শতাংশ রপ্তানি হয়। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মজুত ক্ষতি, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় এবং চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া শ্রমনির্ভর অন্যান্য খাত- যেমন চামড়া, সিরামিক, রাসায়নিক, হস্তশিল্প, কার্পেট ইত্যাদিও তীব্র প্রতিযোগিতার চাপে পড়বে। ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মেক্সিকোর পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন হয়ে উঠবে। রপ্তানি খাত এখন অর্ডার বাতিল, সরবরাহে দেরি আর মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার মতো সংকটে পড়ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রপ্তানিকারক সংগঠনের প্রধান সরকারকে সুদ সহায়তা প্রকল্প ও রপ্তানি ঋণ সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিটিআই সভাপতি রাকেশ মেহরা বলেছেন, সরকার এই মুহূর্তে কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দৃঢ় সমর্থন চাই এবং কাঁচামালের ক্ষেত্রে নীতি পর্যায়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাই।