৫ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশত্যাগ
  © ফাইল ছবি

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর দুর্নীতিবাজ ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দলটির কয়েক শতাধিক ব্যক্তির দুর্নীতি ও ঋণখেলাপির মামলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এবার প্রায় ২২২ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগে আমান গ্রুপের পাঁচ পরিচালককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

ট্রাস্ট ব্যাংকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৬ এর বিচারক হাসান জামান এ আদেশ জারি করেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী মুক্তা ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. তরিকুল ইসলাম।

ট্রাস্ট ব্যাংকের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, প্রায় ২২২ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির দায়ে কিছুদিন আগে ব্যাংক মামলাটি দায়ের করে। গত ২৬ আগস্ট ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত আসামিদের বিদেশ ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। 

"পাশাপাশি কেন তাদের পাসপোর্ট স্থায়ীভাবে জব্দ করা হবে না—সে বিষয়েও কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামিদের স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে," বলেন তিনি।

আদালতের নথি অনুযায়ী, বিবাদী নং ৫-৯ মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, মুক্তা ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. তরিকুল ইসলাম ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে মোট ১৫৬ কোটি ৮১ লাখ ১১ হাজার ১৬৫ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে সুদ ও অন্যান্য চার্জসহ বকেয়া দাঁড়ায় ২২২ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ১৩৯ টাকা (২৪ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী)।

আদালত ইতোমধ্যে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। অর্থাৎ আদালতের অনুমতি ছাড়া তারা দেশ ছাড়তে পারবেন না।

উল্লেখ্য, আমান গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড মিলস ও আমান কটন ফাইবার্স। এছাড়া আছে আমান টেক্স, আমান সিমেন্ট মিলস ও আমান ট্রেডিং।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট আমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক এশিয়ার মামলায় চার পরিচালকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।


মন্তব্য