শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন

শেয়ারবাজার
  © ফাইল ছবি

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা দরপতন থামছে না। ধারাবাহিক পতনের ফলে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমছে, আর বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর নেমে যাচ্ছে তলানিতে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন শুরুর সময় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ায় সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম আধাঘণ্টা সূচক এই ধারা বজায় রাখলেও ধীরে ধীরে বাড়তি শেয়ারের তালিকা ছোট হতে থাকে। শেষ দেড় ঘণ্টায় শুরু হয় ব্যাপক দরপতন। এতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমে যায় এবং সবকটি মূল্যসূচক পতনের মধ্যেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

এদিন ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৭টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। ১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।


মন্তব্য