ডিভিডেন্ড ইস্যুতে ২ কোম্পানিতে বড় ধাক্কা
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ AM , আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ AM
-10438.jpg)
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনী দুই প্রতিষ্ঠান—অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড ও অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস লিমিটেড—বোর্ড সভার মাধ্যমে ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে। তবে প্রত্যাশিত ইতিবাচক প্রভাবের বদলে এ ঘোষণার পর বাজারে দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। টানা চাঙ্গা লেনদেনের মাঝেও দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে গেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অ্যাপেক্স ফুডসের ডিভিডেন্ড ঘোষণার খবর প্রকাশ্যে আসার পরপরই শেয়ারের দরপতন শুরু হয়। সেদিন শেয়ারটির দাম কমে যায় ২ টাকা বা ০.৭৮ শতাংশ। পরদিন মঙ্গলবার পতন আরও তীব্র হয়—একই দিনে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪.০৯ শতাংশ দর হারায় শেয়ারটি। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) যেখানে অ্যাপেক্স ফুডসের শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৫৬ টাকায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তা নেমে দাঁড়ায় ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সায়।
একই চিত্র দেখা গেছে অ্যাপেক্স স্পিনিংয়েও। সোমবার কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড ঘোষণার খবর প্রকাশের পর শেয়ারের দর কমতে শুরু করে। সেদিন শেয়ারটি ৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩.৮১ শতাংশ কমে যায়। পরদিন মঙ্গলবার আরও ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১.৮৩ শতাংশ কমেছে। ফলে রবিবারের ১৭৫ টাকা ৮০ পয়সা দামের শেয়ার মঙ্গলবার নামতে নামতে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ টাকায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে অ্যাপেক্স ফুডস শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। একইভাবে অ্যাপেক্স স্পিনিংও গত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। অর্থাৎ, উভয় কোম্পানিই ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত হারে ডিভিডেন্ড দিয়ে যাচ্ছে, যা বাজারে একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ডিভিডেন্ড ঘোষণার খবরকে কেন্দ্র করে শেয়ার দুটির দরপতন আসলে স্বাভাবিক লেনদেনেরই অংশ। তাদের ধারণা, চলতি বছরও কোম্পানি দুটি আগের মতোই সমপরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। তাই দাম কমাকে আতঙ্কজনক কিছু বলা যাবে না। বরং সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ায় এটি অনেকটা সংশোধনের ধাপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। যারা আগে থেকেই মুনাফায় ছিলেন, তারা এখন কিছুটা লাভ তুলে নিচ্ছেন। ফলে শেয়ারদরে সাময়িক চাপ তৈরি হয়েছে।