চীনের পাল্টা হুমকি

চীন
  © ফাইল ছবি

ফের বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে অর্থনীতির দুই শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আমদানি করা চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। গত সপ্তাহে চীন বিরল খনিজের (রেয়ার আর্থ মিনারেলস) ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই হুমকি দেন। পাল্টাপাল্টি এই হুমকি উভয় দেশের গত কয়েক মাসের বাণিজ্য আলোচনাকে ব্যাহত করছে।

বেইজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গতকাল রোববার বলেন, ‘উচ্চ শুল্কের হুমকি চীনের সঙ্গে আলোচনার সঠিক পথ নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে কাজ করতে থাকে, তবে চীন তার স্বার্থ রক্ষায় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে আমাদের অবস্থান দৃঢ়। আমরা এটি চাই না, আবার ভয়ও পাই না।’ খবর রয়টার্স ও এএফপির

বিশ্বের বৃহত্তম এই দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে বিনিয়োগকারী এবং শিল্পগুলোকে শঙ্কিত করেছে। এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে দর পতন হয়েছে। গত বসন্তে ঘটে যাওয়া পাল্টা শুল্কযুদ্ধের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। ওই সময় চীন ও মার্কিন আমদানির ওপর শুল্ক যথাক্রমে প্রায় ১৪৫ এবং ১২০ শতাংশে পৌঁছেছিল। এটি চলমান বাণিজ্য আলোচনায় নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

বেইজিং পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দেখছে না। বরং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াশিংটনকে ‘দ্রুত তার ভুল পথ সংশোধন করতে’ এবং ‘আলোচনায় অর্জিত অগ্রগতি বজায় রাখতে’ অনুরোধ করেছেন। চীন বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণকে ‘বৈধ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ওয়াশিংটনকে এই সর্বশেষ উত্তেজনার জন্য দায়ী করেছে। তারা মাদ্রিদে গত সেপ্টেম্বরে হওয়া সর্বশেষ বাণিজ্য আলোচনার দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তেজনার জন্য ট্রাম্পকে দুষছেন।

ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে অতিমাত্রায় প্রসারিত করেছে। রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এর অপব্যবহার করেছে। চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিস্তৃত পরিসরে পণ্যের ওপর একতরফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের তালিকায় তিন হাজারটির বেশি পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেখানে চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের তালিকায় রয়েছে ৯০০-এর সামান্য বেশি পণ্য।

 


মন্তব্য